নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে জামদানি কারিগর মজিবুর রহমানকে খুনের মামলায় গ্রেফতার শহিদ মিয়া (৫৫) ও তার স্ত্রী জোসনা (৪০) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। শনিবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আড়াইহাজার থানার এসআই সজিব জানান, গ্রেফতার দুই ব্যক্তি গত শুক্রবার বিকালে নারাণগঞ্জের ‘গ’ অঞ্চল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজেস্ট্রেটের আমলি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এসআই বলেন, শহীদ ও তার স্ত্রী জোসনা আদালতে দেয়া তাদের জবানবন্দিতে বলেন, ‘স্বামী শহিদ মিয়ার অগোচরে জামদানি কারিগর মজিবুরের সঙ্গে জোসনা বেগমের পরকীয়া গড়ে উঠে। এরই সুবাদে তাদের মধ্যে প্রায়ই দৈহিক সম্পর্কের ঘটনা ঘটে আসছিল। ঘটনার দিন রাতে মজিবুর ফের তার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক করার চেষ্টা করেন। এতে তিনি রাজি না হওয়ায় জোরপূর্বক চেষ্টা চালায়। রক্ষা পেতে তাকে ধাক্কা দিলে সে চৌকির সঙ্গে আঘাত প্রাপ্ত হন। এতে মজিবুর জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এক পর্যায়ে মারা যায়। রিকশা চালক স্বামী শহিদ মিয়া বাড়িতে আসার পর লাশ বাড়ির কিছু অদূরে ইলুমদী মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসা সংলগ্ন রাস্তার পাশে ফেলে দেয়া হয়।’ এসআই বলেন, ‘আরও তদন্ত করা হচ্ছে। মৃতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কিভাবে আঘাত প্রাপ্ত হয়েছেন তা বের করার চেষ্টা চলছে।’এর আগে এ ঘটনায় মৃতের স্ত্রী নাজমা বেগম বাদি হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছিলেন। প্রসঙ্গত.১১ ফেব্রুয়ারি বৃহম্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ খবর পেয়ে ইলুমদী মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসা সংলগ্ন রাস্তার পাশে পড়ে থাকা অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে। ১০ ফেব্রুয়ারি বুধবার দিবাগত রাত ৮টার দিকে তিনি একই এলাকার জাইদুলের চায়ের দোকানে চা খাওয়ার পর নিখোঁজ হন। মজিবুর রহমান স্থানীয় হাইজাদী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইলুমদী কান্দাপাড়া এলাকার নুরুল হকের ছেলে। তিনি পেশায় জামদানি শাড়ী তৈরির কারিগর ছিলেন।